কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল সংক্ষেপে যাকে বলা সিএসই। এই বিষয়ে অধ্যয়ন করার মাধ্যমে আপনি অবদান রাখতে পারেন প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রেই। এজন্যই হয়তো সারাবিশ্বে এই বিষয়ে পড়াশুনা করার আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক; এর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও এই সংখ্যাটা বাড়ছে প্রতিনিয়তই। কিন্তু সমস্যা হলো – আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আসনসংখ্যা সীমিত থাকার কারণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পাচ্ছে না পছন্দের সিএসই ডিপার্টেমেন্টে। ফলে বেছে নিতে হচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বমোট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৯২ টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় বেশিরভাগেই রয়েছে সিএসই’তে পড়ার সুযোগ। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে নানারকম সিন্ধান্তহীনতায়। অনেকেই ভেবে পাচ্ছে না কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টি তারজন্য পারফেক্ট হবে। তাই ভাবলাম আরে!!!, এই সিন্ধান্তহীনতায় ভোগা ভাই-বোনদের জন্য আমার বিশ্ববিদ্যালয় তথা ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ তো হতে পারে বেষ্ট অপশন! তাহলে আর দেরি কেন? চলুন…
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সবুজে ভরা মনোরম পরিবেশ মানেই এক অন্য রকম অনুভুতি। যা আমাদের অবসর সময়গুলোকে আনন্দময় করতে অনেক বেশি কাজে লাগে। তাই তো সাভারের আশুলিয়ায় প্রায় ১৫০ একর জমির উপর অবস্থিত ড্যাফোডিলের গোছালো স্থায়ী ক্যাম্পাসটির সবুজ মাঠে বসে প্রোগ্রামিং আড্ডাটা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। প্রকৃতি এবং বন্ধুদের সাথে এরকম প্রাণবন্ত মুহুর্ত আপনি আর কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবেন না। এখন পর্যন্ত ড্যাফোডিলেই একমাত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যার রয়েছে সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মনে হয় না কোথায়ও এতবড় ডিপার্টমেন্ট আছে তাও সিএসই’র মত সাবজেক্টে। যেখানে আশংকা করা হচ্ছে- আগামী কয়েকদশকে পরে হয়ত প্রযুক্তিই নেতৃত্ব দিবে সারাবিশ্বকে। তাহলে ভাবুন তো – আমাদের দেশের প্রযুক্তির উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অবদান কতটুকু হতে পারে!!! অন্যভাবে বললে- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রবিন্দু এই ডিপার্টমেন্টকে ঘিরে।
সিএসই’র ক্যারিয়ার বলতে যদি কিছু থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে প্রোগ্রামিং। চলুন একটু অন্যভাবে বুঝি ” প্রযুক্তির মূল (Root) যদি হয় সিএসই তাহলে সিএসই’র মূল নিঃস্বন্দেহে প্রোগ্রামিং। ” এই দুইটি বাক্যে মনে হয় বুঝে গেছেন প্রোগ্রামিং সিএসই’র জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোগ্রামিং দক্ষতা বাড়ানোরর জন্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। দক্ষতা বাড়ানো কাজটি দায়িত্ব নিয়ে করে যাচ্ছে আমাদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব। যার ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন রকমের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যাচ্ছে।
এক কথায় ডিজিটালাইজেশনে ড্যাফোডিল অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কয়েক ধাপ উপরে অবস্থান করছে। এখানে পুরো ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা, ক্লাসের পড়াশোনা, সেমিস্টার রেজাল্ট, টিউশন ফী সহ সকল প্রকার কার্যক্রম করা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়াও ড্যাফডিলের One student one Laptop উদ্যেগটি সত্যেই প্রশংসার দাবিদার। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্টুডেন্টদের সেমিষ্টারের রেজাল্ট স্বয়ংকৃয়ভাবে অভিভাবকদের কাছে পৌছে যায়।
সিএসই শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর আর এই সাবজেক্টের কঠিন ও জটিল বিষয়গুলো সহজ করে উপস্থাপন করার জন্য ল্যাবের ভুমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি পাচ্ছেন শতভাগ নিশ্চিত গোছানো, পরিপূর্ণ ও হাই-কনফিগারেশন কম্পিউটার। ক্লাসের সময় ছাড়াও অন্যান্য সময়ে ল্যাবের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ তো রয়েছেই।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবলেই প্রথমেই আসে টাকার প্রশ্ন। এ ব্যাপারে, এক কথায় বলতে গেলে অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালগুলো থেকে ‘ড্যাফোডিলে’ টাকার পরিমান তুলানামূলক কম। এছাড়াও মেধাবীদের HSC ও SSC এবং প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে রয়েছে বিশেষ বৃত্তি। এখানে একটি কথা না বললেই নয় – “মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবীদের জন্য ‘ড্যাফোডিল’ হতে পারে স্বপ্ন পূরনের সূতিকাগার”। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সেমিস্টার রেজাল্ট ভাল না করলে এর উল্টোটাও হতে পারে।
বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ধানমন্ডি (প্রধান ক্যাম্পাস), উত্তরা এবং ঢাকার আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উপরের প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে বিদ্যমান থাকলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাবেন -প্রকৃতির মনোরম পরিবেশের এক অসাধারণ অনুভুতি।
পরিশেষে বলতে চাই – যেকোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরিন এবং পারিপার্শিক অবস্থা। এজন্য আপনি যেটা করতে পারেন তা হলো – বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর র্যাঙ্কিং দেখে নেওয়া।
প্রযুক্তির এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে অধ্যয়ন করার আগে অবশ্যই দুইটি প্রশ্ন নিজেকে করবেন – কেন পড়বেন এবং তথ্য-প্রযুক্তির কোন সমস্যারটার সমাধান করবেন?
এই লেখাটি সম্পাদনা করা হয়েছে মে ২৮, ২০১৯ ১:০০ অপরাহ্ন
প্রোগ্রামিং শুরু করার আগে একটি প্রচলিত লাইন যা প্রায় সকল বিগিনারদের শুনতে হয়- "প্রোগ্রামিং খুব…
ডেনো কি? ডেনো হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট ও টাইপস্ক্রিপ্টের একটি সিকিউর রানটাইম, এটি জাভাস্ক্রীপ্টের V8 ইঞ্জিন এবং…
অনেকেরই ধারণা ইন্টারনেট মানে একটি ম্যাজিকেল ক্লাউড যা আমাদের পছন্দের ওয়েবসাইট, অনলাইন শপ এবং অন্তহীন…
ওয়েবের ৭৮.৯% ওয়েবসাইটই পিএইচপি তে রান হওয়া স্বত্বেও এটি ভবিষ্যতের ইকোসিস্টেমের সাথে যাচ্ছেনা। বিশেষ করে…
আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি বিভিন্ন প্রয়োজনে সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট এবং ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এসকল…
ম্যালওয়্যার! বর্তমান সময়ে আসলেই একটি ভয়ের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বড় টেক কোম্পানী থেকে ছোট পার্সোনাল…
মন্তব্য পড়ুন
ভাই আমি বর্তমানে বিবিএস ২য় বর্ষে(স্নাতক)পড়াশুনা করি।আমি কি সিএসই তে ভর্তি হতে পারব?।এবং যদি সুযোগ থাকে তাহলে প্রসেস টা কিভাবে?
জানতে পারলে উপকৃত হব।
আর একটা টপিক এড করা যেত, ড্যাফোডিলের CSE সাবজেক্ট IEB এর মেম্বারশিপ আছে কিন্তু:)